তাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ ডলার পাচারের ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এত দিন শুধু আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে যে অর্থ পাচার হয়, সেটি ঠেকাতে সক্রিয় ছিল। পাশাপাশি প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা দিয়ে হুন্ডি বন্ধেরও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন নতুন করে কার্ডের মাধ্যমে ডলার পাচারের ঘটনাটি সামনে আসায় এটি বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কার্ডের মাধ্যমে ডলার খরচের তাৎক্ষণিক (রিয়েল টাইম) তদারকির কোনো ব্যবস্থা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনবিএলের পরিচালকেরা ও তাঁদের পরিবারের বাইরে আরও অনেকের ক্রেডিট কার্ডেই বিদেশে লেনদেনের কোনো সীমা নেই। খরচের পর তা স্থানীয় মুদ্রায় সমন্বয় করে নেওয়া হয়। সিকদার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ক্রেডিট কার্ডের অপব্যবহার করে আসছেন।
বাংলাদেশে এখন ভিসা, মাস্টারকার্ড, অ্যামেক্স, ডাইনার্স ক্লাব, ইউনিয়ন পেসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহার হয়। ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক দি সিটি ব্যাংকের। এরপরই ক্রেডিট কার্ডের বেশি গ্রাহক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ব্র্যাক, ইস্টার্ণ ও ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের। কিন্তু কার্ডের মাধ্যমে ডলার পাচারের ঘটনাটি ঘটেছে ন্যাশনাল ব্যাংকে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন জয়নুল হক সিকদার। তিনি মারা যাওয়ার পর গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া সিকদার পরিবারের একাধিক সদস্য ও সিকদার গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তা এ ব্যাংকের পরিচালক। মূলত তাঁরাই ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন।
অন্যগুলো নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিচালক পদ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। পদক্ষেপই বলে দেবে আসলে কী চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
সাংবাদিক, প্রথম আলো
shanaullah.sakib@prothomalo.com
Discussion about this post