ন্যাশনাল ব্যাংক ঋণের তথ্য জানানোর নিয়ম না মানায় ১৫ নভেম্বর তাদের একাধিক চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবি। এসব চিঠিতে বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী সব ঋণের তথ্য সম্পর্কে পরবর্তী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে সিআইবিতে রিপোর্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপরও গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ও রিপ্লেসমেন্ট কার্ডের বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়নি, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরিপন্থী ও জরিমানা আরোপযোগ্য অপরাধ।
চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সকালে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার ও সিকদার গ্রুপের কর্মকর্তা সৈয়দ কামরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে একজন ডেপুটি গভর্নরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়, এমডি শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে সরিয়ে ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি আবদুল হামিদ মিয়াকে পরামর্শক বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। তাহলেই ক্রেডিট কার্ডের জরিমানার বিষয়টি সুরাহা হবে।
এ নিয়ে চেষ্টা করেও শাহ সৈয়দ আবদুল বারীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর সৈয়দ রইস উদ্দিন গতকাল শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার এমডি পদে যোগ দিয়েছি। ক্রেডিট কার্ডের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এদিকে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আবদুল হামিদ মিয়া যোগদান না করলেও ব্যাংকটিতে কাজ শুরু করেছেন। তিনি আগে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের এমডি ছিলেন। তবে আবদুল হামিদ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ব্যাংকে গিয়েছিলাম আমার নিজের কার্ডের বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য। ন্যাশনাল ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পরেই কাজ শুরু করব।’
গত দেড় দশকে ব্যাংকটির বেশির ভাগ এমডিই পর্ষদের চাপে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। যে কারণে ২০১৪ সালে ব্যাংকটিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাবেক ব্যাংকার সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কঠিন হাতে এসব দমন করতে হবে। একটার পর একটা ব্যাংকে বড় বড় অনিয়ম হচ্ছে। অথচ কারও শাস্তিই হচ্ছে না।
Discussion about this post