কিন্তু গত বছর নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিপাকে পড়েন আমানতকারীরা। আগের সেই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে আরেকটি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের পর এবার আমানতের সুদহারও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের মূল্যস্ফীতির গড়ের চেয়ে আমানতের সুদ কম হতে পারবে না বলে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার। এতে সাময়িকভাবে আমানতকারীরা হয়তো বর্তমানের চেয়ে একটু বাড়তি সুদ পাবেন। কিন্তু ঋণের সুদ বেঁধে দেওয়ার ফলে ব্যাংকগুলোতে যে হযবরল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, একইভাবে এবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। কারণ, আমানতের সুদ বাড়ালেও হঠাৎ করে ঋণের সুদ বাড়াতে পারবে না ব্যাংকগুলো। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে নতুন ঋণ প্রদান পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্ত ব্যাংক খাতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে—এ নিয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী আজ সোমবার সকালে বলেন, ‘হঠাৎ আমানতের সুদ বেঁধে দেওয়ায় আমাদের বছরে ২০০ কোটি টাকা আয় কমে যাবে। কারণ, আগের চেয়ে আমানতকারীদের বেশি সুদ দিতে হবে। ঋণের সুদ ৯ শতাংশের বেশি নেওয়া যাবে না। আগে সাধারণ আমানতকারীরা ঠকলেও ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়েছেন। এখন ব্যবসায়ীদের সুদ কিছুটা বেড়ে সাধারণ আমানতকারীরা লাভবান হবেন।’
নতুন এই সিদ্ধান্ত আমানতকারীদের জন্য আপাত ভালো হয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া ঠিক নয়। তিনি বাজারব্যবস্থার ওপর ‘সুদহার’ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।
Discussion about this post