জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেয়ারবাজার স্বাভাবিক করতে প্রতিটি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় এবং শেয়ারবাজারের এই বিনিয়োগকে আইনের নির্ধারিত সীমার বাইরে রাখে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এই তহবিলের বিপরীতে পুনঃ অর্থায়নের সুযোগ দেয়। ব্যাংক নিজে বা সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পায়। তবে কোন শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে এই তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে, সেই শর্ত ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু ছয়টি ব্যাংক এই শর্ত ভেঙে বিনিয়োগ করে।
এ বিষয়ে জানতে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আর প্রিমিয়ার ব্যাংক এক লিখিত বক্তব্যে জানায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক সব নিয়মকানুন মেনে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। তিন বছর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়নি, বিশেষ তহবিলের অর্থে এমন অল্প কিছু শেয়ার কেনা হয়। কিন্তু ধরা পড়ার পরই তা বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এর আগে আইন লঙ্ঘন করে শেয়ার কেনায় প্রবাসী উদ্যোগে গঠিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংককে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও এনআরবি ব্যাংককে ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। এদিন সূচকটি ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
Discussion about this post